EDITOR
- ৩ এপ্রিল, ২০২১ /
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গরম বাড়ছে। প্রচন্ড গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ত্বকে লোমকূপের ভিতর থেকে ঘাম বেরিয়ে আসে। ঘামে শরীরের দূষিত রেচন পদার্থ থাকে। যা এই ঘামের সঙ্গে মিশে থাকা লবণের কারণে লোমকূপের মুখ বন্ধ করে দেয়। পরে সেই অংশ দিয়ে আর ঘাম বের হতে পারে না। এতে লোমকূপের সেই অংশটি ফুলে ওঠে। বেড়ে যায় ঘামাচি।
প্রচন্ড গরমের শরীরে এমনিতেই অস্থির অবস্থা হয়ে যায়। এর উপর যদি শরীরে ঘামাচি হয় তাহলে ভোগান্তি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচি, র্যাশ, চুলকানির সমস্যা তো হবেই। যা খুব অস্বস্তিদায়ক আর বিরক্তিকর। ঘরেই নিজের যত্ন নিন মুক্তি মিলবে এই ঘামাচির।
- গরমে চেষ্টা করুন কিছুক্ষণ পর পর ঘাম মুছে নিতে। ঘাম মোছার সময় অতিরিক্ত চাপ দিবেন না।
- শক্ত কিছু ব্যবহারও করবেন না। পরিস্কার নরম রুমাল ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে সঙ্গে অতিরিক্ত রুমাল রাখুন।
- সম্ভব হলে দিনে দুই বার গোসল দিন। কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। ঘামাচির স্থানে সাবান ঘষবেন না। শরীরে অন্য স্থানেও হালকা হাতে সাবান ব্যবহার করুন।
- ট্যালকম পাউডার ব্যবহার না করাই ভালো। এতে লোমকূপের মুখ আরও বন্ধ হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হতে পারে।
- খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফল আর শাক-সবজি রাখুন।
- গোসলের পানিতে কোনো অ্যান্টি-সেপটিক ব্যবহার করুন। এছাড়াও গোসলের পানিতে লেবুর রস, নিম পাতার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বক ফ্রেশ থাকবে এবং জীবাণু কম হবে।
- প্রচুর পরিমাণে পানি খান। ঘাম কম হবে।
হালকা রঙের পোশাক পরুন। তা যেন হয় ঢিলে-ঢালা। বেশি গাঢ় রঙের জামাকাপড় পরবেন না।
চুলে ঠিকঠাক শ্যাম্পু করুন।
- ঘামাচি হলে একদম চুলকাবেন না।
অ্যালোভেরার রস, নিম পাতার রস, পাতিলেবুর রস পানিতে মিশিয়ে পাতলা করে নিয়ে লাগান।
- রুমালে বরফের টুকরো মুড়ে নিয়ে মুখে ঘষুন। গরমের জ্বালা থেকে আরাম পাবেন।
- পানিতে ১ থেকে ২ কাপ ওটমিল ভিজিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর পানি ঠান্ডা হলে তা দিয়ে গোসল করুন। ওটমিল বেটেও লাগিয়ে রাখতে পারেন।
এছাড়া ঘামাচি থেকে যে চুলকানি হয়, সেটা কমাতে পারে বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাই কার্বনেট। গোসলের পানিতে ২ থেকে ৩ চামচ সোডা মিশিয়ে নিন। ঘামাচি কমে যাবে।
ভয়েস/ জেইউ।